বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল। অল্প পুঁজি ব্যয় করে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন পানিফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে বগুড়ার কৃষকদের। জেলার চাহিদা মিটিয়ে রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুরসহ দেশের অন্যান্য জেলার পাইকাররা এই ফল কিনে তাদের জেলায় বিক্রি করছে। পানিফল শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও খেতে পছন্দ করেন। আর খেতে সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় চাহিদাও বেশি। এই ফল দেখতে সিঙাড়ার মত বলে স্থানীয়ভাবে পানিফলের নাম সিঙাড়া নামেই পরিচিত। এ ফল শীতের শুরুতে বাজারে ওঠে। প্রতিদিন বগুড়া শহরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করতে দেখা যায় পানিফল। যে কারণে বগুড়ার খাল-বিল জলাশয় জুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে পানিফলের গাছ।
জানা গেছে, বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পানিফল উৎপাদনে সফলতা পাওয়ায় চাষিরা অনুপ্রাণিত হয়ে কৃষি অফিস থেকে চাষাবাদ পদ্ধতি শিখে পতিত জমিতে পানিফল চাষ করেছেন। নিচু পতিত জমি এবং বিল-জলাশয়ে মৌসুমি ফসল হিসেবে পানিফল চাষ হচ্ছে। স্বল্প খরচে অনেকটা লাভবান হওয়ার আশায় কৃষকদের মাছে আগ্রহ বেড়ে গেছে পানিফল চাষের। চাষও যেমন বাড়ছে তেমিন বাজারে এই ফলের দামও ভালো। আর ভালো দাম পেয়ে কৃষরাও খুশি।
কৃষকরা জানায়, গেল বছরের তুলনায় এ বছর বগুড়ায় পানিফলের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১৪ থেকে ১৫ মণ ফল হচ্ছে। এতে বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি মণ ১ হাজার টাকা দরে কেনাবেচা হয়ে থাকে। তবে মৌসুমের শুরুতে ১৪’শ থেকে ১৬’শ টাকা মন বিক্রি হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা য়ায় গত বছর ২৫ হেক্টর জমিতে পানিফল চাষ হলেও এবার ৩৬ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। যা থেকে ৯’শ টন ফল উৎপাদন হবে। জেলার গাবতলী, শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় পানিফল চাষ হয়ে থাকে।
তিনি আরো জানান, কৃষিতে পানিফল নতুন এক সম্ভাবনাময় ফসল। কৃষি বিভাগ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে পানিফল চাষের বিস্তার ঘটাতে। এটি যেকোনো পতিত খাল, পুকুর, ডোবা অথবা জলাশয়ে চাষ করা সম্ভব। তুলনামূলক এর উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকদের উৎসাহ ব্যাপক উৎসাহ রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।